সময় বরাদ্দ নিয়ে অভিমান করে কিছু সময়ের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আলোচিত রাজনীতিবিদ, স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তাঁকে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময় বরাদ্দকে তিনি উপহাস হিসেবে আখ্যায়িত করে সংসদে বক্তব্য দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
সোমবার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার সময় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক এই সদস্য এবার টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হন। দশম সংসদে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন। পাশাপাশি দল থেকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন। পরে তাঁর সংসদ সদস্য পদও শূন্য হয়। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকার পর এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
সময় বরাদ্দ কম হওয়ায় ক্ষুব্ধ লতিফ সিদ্দিকী স্পিকারের চেয়ারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, উচ্চাসনে যারা বসেন তাদের নিম্নে অবস্থিত ব্যক্তিদের উপহাস করতে বোধহয় আনন্দ হয়। কিন্তু এই পরিহাসে অংশগ্রহণ করতে তিনি সন্মত নন। তাঁর অন্তরাত্মা সায় দিচ্ছে না। তাই স্পিকার যে ১০ মিনিট দিয়েছেন সেই ১০ মিনিট তিনি এই সংসদের কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেন। এরপরই তিনি নিজের আসন ছেড়ে চলে যান। পরে অবশ্য মিনিট দশেক পরে আবারও সংসদের কার্যক্রমে অংশ নেন।
পরে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র সদস্যরা যত বেশি কথা বলবেন তত বেশি সংসদ কার্যকর হবে। সময় একটু বেশি দিলে.. লতিফ সিদ্দিকী অভিমান করেছেন, তিনি করতেই পারেন সিনিয়র, মুক্তিযোদ্ধা। ১৫ মিনিট সময় দিলে হয়তো বলবেন। আমার অনুরোধ থাকবে ১৫ মিনিট সময় দিয়ে তাকে যেন কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। লতিফ সিদ্দিকীকে ১০ মিনিট সময় দেওয়ায় তিনি রাগ করেছেন। তিনি সিনিয়র মানুষ, তাকে হয়তো ১৫ মিনিট দিলে তিনি বলতেন। তাকে ১৫ মিনিট সময় দেওয়ার দাবি জানাই।