রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে নিহত চারজনের মধ্যে অজ্ঞাতনামা দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।বুধবার ২০ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান বলেন, চেহারা দেখে লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিবারের সদস্যরা পুড়ে যাওয়া এ দুই ব্যক্তির লাশ শনাক্ত করেছেন। রশিদ ঢালীর মুখের অবয়ব, কোমরে বাঁধা তসবি, হাতের আংটি ও জুতা দেখে স্বজনেরা লাশ শনাক্ত করেন।
আর আগুন লাগার পর খোকন মিয়া তাঁর মা ও শিশুসন্তানকে ট্রেন থেকে নিচে নামিয়ে আনেন।পরে মালামাল নামানোর জন্য তিনি আবার ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর বের হতে পারেননি। এই লাশ আর কেউ দাবি করেননি। এ কারণে লাশ দুটি স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেতাফুর রহমান আরও বলেন, আজ যে লাশ দুটি ট্রেনটি তেজগাঁও রেলস্টেশনে আসার পর আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেন চালক। তখন ট্রেনটি সেখানে থামানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান। আগুন দেওয়ার ঘটনায় গতকাল যাত্রীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান যাত্রীরা।