বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৫.৩৬ শতাংশ এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ২.৫০ শতাংশ ‘জনস্বার্থে সমন্বয়’ করেছে সরকার। এতে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৫৭০ কোটি টাকা ভর্তুকি কমবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে জ্বালানি বিভাগ। এরপর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় মূল্য ‘সমন্বয়ের’ এমন ব্যাখ্যা দেয় তারা।
ব্যাখ্যায় জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সমন্বয় করেছে। গ্যাসের দাম বিদ্যুতে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ৩০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ছয় হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ছয় হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।