বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে সমর্থনে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির কংগ্রেস সদস্যরা। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ল্যামারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য এই আহ্বান জানান।
চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা হলেন ইলহান ওমর, জেমস পি ম্যাকগভর্ন, জান শাকোস্কি, রাউল এম গ্রিজালভা, বারবারা লি, ডেভিড জে ট্রোন, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ ও সুসান ওয়াইল্ড। তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের মজুরি বোর্ড মজুরি বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছে, তা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ কারণে শ্রমিক অসন্তোষ গণবিক্ষোভের রূপ নিয়েছে। আন্দোলনকারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও বলপ্রয়োগ করেছে পুলিশ। এতে কমপক্ষে চার জন নিহত, অসংখ্য আহত ও গ্রেপ্তার-আটকসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিশোধ, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই সংগঠিত, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ এবং সম্মিলিতভাবে দর কষাকষির জন্য শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান ও রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আহ্বানের সঙ্গে আমরা একমত।
এমন অবস্থায় এএএফ ‘র প্রতি আমাদের অনুরোধ, যেন তারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের ওপর পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায়। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হোক, যেন তারা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রতিমাসে ২০৮ ডলার বাস্তবায়ন করে। সেইসঙ্গে মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রভাব ব্যবহার করতে হবে। অবিলম্বে বাংলাদেশি শ্রমজীবী পরিবারের জন্য আরও ভালো মজুরি ও অধিকারের দাবি করে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
চিঠিটি অ্যাকাডেমিক্স স্ট্যান্ড অ্যাগেইনস্ট পোভার্টি, এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকান লেবার অ্যালায়েন্স (এএফএল-সিআইও অ্যাফিলিয়েট), ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন, ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ- গ্লোবাল ইকোনমি প্রজেক্ট, লেবার বিহাইন্ড দ্য লেবেল, অক্সফাম আমেরিকা এবং ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড (এসইআইইউ অ্যাফিলিয়েট) অনুমোদিত।