ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের। সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দেশ।
শিগগিরই শতভাগ কাজ শেষ হচ্ছে এ টার্মিনালের। এরপরই টার্মিনালটি বুঝে নেবে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগামী ৫ এপ্রিল থার্ড টার্মিনালের সব কাজ শেষ করবে। ৬ এপ্রিল বেবিচক বুঝে নেবে। এরপর থেকে নানা ট্রায়াল শেষে অপারেশন শুরু করবে এই টার্মিনাল।
বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অপারেশন প্রথমদিন থেকেই নতুন টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের প্রয়োজন হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির কথা বলা হলেও ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
তাই শুরুতে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ দেওয়ার কথা ভাবছে বেবিচক। এমন ইঙ্গিত পেয়ে ইতোমধ্যে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান।
তবে বিমান বলছে, স্থায়ীভাবে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করতে প্রস্তুত তারা। চূড়ান্তভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার আগে তারা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে দেখাবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হতে হতে জুলাই-আগস্ট হতে পারে। এই চুক্তি হয়ে গেলে তারা টেকওভার করবে। তবে আগস্টে টেকওভার করে অক্টোবর মাসে পুরোপুরি অপারেশনে আনা অসম্ভব। তাই সিভিল এভিইয়েশন বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করে দেবে। বিমানকে আপাতত গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ দিয়ে আমরা শুরু করব।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগে থেকেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডিলিংয়ের কাজ পাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছিল। তবে নানা অব্যবস্থাপনা ও অভিযোগের কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জাপানি প্রতিষ্ঠানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ দিতে চাচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের পারফর্মেন্স নির্ভর করে এয়ারপোর্ট ফ্যাসিলিটিসের ওপর। যথেষ্ট বোর্ডিং ব্রিজ, বে, পার্কিং এরিয়া, লাগেজ বেল্ট থাকলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ভালো হবে। তৃতীয় টার্মিনালে এসব ফ্যাসিলিটি রয়েছে। পাশাপাশি তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য বিমানের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও জনবল রয়েছে, জনবলের ট্রেনিংও করানো হয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের শেষ থেকে ইতোমধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের সুবিধা নিতে শুরু করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবতরণের পর দুটি হাই স্পিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে ব্যবহার করে উড়োজাহাজ গুলো দ্রুতই রানওয়ে থেকে বের হয়ে যেতে পারছে।
এর আগে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর আংশিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল (থার্ড টার্মিনাল)। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর কাজ শুরু হওয়া টার্মিনালটি ছিল সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিষয় : বেবিচক তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশ এভিয়েশন
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006 ,01922575574
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
