× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পেঁয়াজের দাম ১৩০

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৭ এএম । আপডেটঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৭ এএম

ফাইল ছবি

ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমে যায় ১০ টাকা। এ সময় পণ্যটির দাম ১২০ থেকে ১১০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। তবে ভারত থেকে নতুন করে পেঁয়াজ না আসায় গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে তা ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে প্রশাসনের তৎপরতার কারণে চালের দাম সামান্য কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শসা। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মুরগি ১০ থেকে ২০ টাকা, গরু এবং ছাগলের মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। অপরদিকে সরকার শুল্ক কমালেও খুচরা বাজারে কমেনি খেজুরের দাম। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযান পরিচালনার দাবি ভোক্তাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভারত সরকার গত ৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরই দেশে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ওই সময় পেঁয়াজের দাম কেজি ২০০ টাকা ঠেকে। এরপর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন। ভারত সরকার নীতিগতভাবে সে বিষয়ে সম্মতিও দেয়। এরই অংশ হিসেবে গত রোববার ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়। 

এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানিকারক মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরাও শুনেছিলাম, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এ জন্য দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু এলসি করতে গিয়ে ভারতের রপ্তানিকারকদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই দাম বাড়তে শুরু করেছে। 

এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর মাতৃভাণ্ডার বাণিজ্যালয়ের কালাম শেখ বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি। ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল (বুধবার) ছিল ১০০ টাকা কেজি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ দেবে বললে অনেকে কম দামে ছাড়ে। কিন্তু বন্দর থেকে না আসায় আবার বাড়তে শুরু করে। কারণ দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ হয়ে আসছে। তবে হালি পদ্ধতিতে চাষ করা পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে। আর এ কদিনে ভারত পেঁয়াজ না দিলে বেশি দামেই কিনতে হবে। 

খুচরা বিক্রেতা হালিম বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনায় ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। 

পাড়া-মহাল্লার খুচরা ব্যবসায়ীরাও বলছেন, নতুন করে কম দামের বোতল বাজারে এলে কম দামে বিক্রি করা হবে। সেটার জন্য ১ মার্চ পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চিনির কেজি ১৪০-১৪৪ টাকা। গতকাল শিল্পমন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশন রমজানের আগে চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

জুয়েল নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজব এক দেশ। সরকার ১৫ দিন আগে কয়েকটি পণ্যে শুল্ক কমালেও ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছে না। সরকার ঘোষণা করলেও বেশি দামে পেঁয়াজ, চিনি, খেজুর কিনতে হচ্ছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.