× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

১৪ বছরে বিলুপ্ত প্রায় ২৯ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ পুনরুদ্ধার

ন্যাশন্যাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ এএম । আপডেটঃ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৩ এএম

১৪ বছরে বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির ২৯ প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার, লাইভ জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ ও অন্যান্য সংকটাপন্ন বিপন্ন জাতগুলোর সঙ্গে সেগুলোর পুনরুৎপাদন করা হয়েছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী এই তথ্য জানান।ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী বলেন, ‘বাণিজ্যিক হ্যাচারিতে সেগুলোর প্রজননের লক্ষ্যে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত লাইভ জিন ব্যাংকে ‘চরম বিপন্ন, বিপন্ন, ঝুঁকিপূর্ণ ও হুমকির মুখে থাকা’ মিঠা পানির মাছের প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য বিএফআরআই একটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) এর সর্বশেষ ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট মাছের ৬৪টি প্রজাতি বা ২৫.৩ শতাংশ ‘হুমকির মুখে’ রয়েছে। আইইউসিএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৪টির মধ্যে ৯ প্রজাতি ‘গুরুতর বিপন্ন’, ৩০টি ‘বিপন্ন’ ও পাঁচটি প্রজাতি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’।

এর আগের ২০০০ সালের মূল্যায়নে বলা হয়েছিল, ৫৪টি মাছের প্রজাতি হুমকির সম্মুখীন ও এর মধ্যে ১২টি ‘চরমভাবে বিপন্ন’, ২৮টি ‘বিপন্ন’ ও ১৪টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’।আইইউসিএন বাংলাদেশের মোট মাছের প্রজাতির মূল্যায়ন করেছে ২৬৬টি, যার মধ্যে ১৪০টি ছোট মাছ ও বাকি ১২৬টি আকারে বড়।বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাচারি বা কাছাকাছি পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা মৎস্য চাষ দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন ও খোলা পানিতে মাছের প্রজাতি গত কয়েক দশকে তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে।আইইউসিএন এর ২০১৫ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘১৯৭০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রাকৃতিক মুক্ত জলাশয়ে উৎপাদিত মিঠা পানির মাছ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত ছিল। উন্মুক্ত জলাশয়ে উৎপাদিত মাছের উৎপাদন প্রাতি বছর ১.২৪ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়ে এখন ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

ফলস্বরূপ, এতে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে এবং আরও অনেকগুলো অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্তির মুখোমুখি হচ্ছে।বিএফআরআই প্রধান আলী বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপর্যয়ের মধ্যে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে কিছু মাছের জাত বিলুপ্ত হয়ে গেছে।রাষ্ট্র পরিচালিত গবেষণা সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) ড. অনুরাধা ভদ্র বলেন, ‘আইইউসিএন-এর তালিকাভুক্ত ৬৪টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ প্রজাতির মধ্যে ‘আমরা ৪০ প্রজাতির জার্মপ্লাজম বা জেনেটিক নমুনা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।

বিএফআরআই স্থানীয় মাছের জাত রক্ষায় ও কৃষকদের কাছে এর প্রজনন প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে মানুষের জন্য মাছের প্রজাতির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে তাদের গবেষণাকে শক্তিশালী করেছে। বছরের পর বছর ধরে প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয়ের কারণে কিছু মাছের প্রজাতি এখন বিলুপ্তির পথে।’

তবে ড. ভদ্র বলেন, ‘লাইভ জিন ব্যাঙ্ক স্থানীয় মাছগুলোকে রক্ষা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে যা একসময় প্রকৃতির একটি অসাধারণ উপহার ও একটি প্রধান খাদ্যের উৎস ছিল।’বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা দু’টি জিন ব্যাঙ্কে ১৬২টি বিপন্ন প্রজাতির মাছের জিন সংরক্ষণ করেছেন, এরমধ্যে ১০২টি ছোট এবং দেশীয় মৎস্যসম্পদ।রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তবে যখন কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ বিলুপ্তির হুমকির সম্মুখীন হয় তখন জিন ব্যাঙ্কের প্রয়োজন হয়।’বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রায় ৬৭ হাজার টন ছোট মাছ উৎপাদন করেছিল, চাষের প্রসারের সুবাদে ২০২১ সালে তা বেড়ে ২ লাখ ৬১ হাজার টন হয়েছে।  

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.