আরও ৪ পণ্যকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮টি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন জিআই স্বীকৃতি পেল রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর এবং মুক্তগাছার মণ্ডা।
২০০৩ সালে অধিদপ্তর যাত্রা শুরু করার পর ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন ও ২০১৫ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।
২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য।
এগুলো হলো-বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
সম্প্রতি জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদিত ৩টি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
এছাড়া আরও ২ পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। সেগুলো হলো জামালপুরের নকশি কাঁথা এবং যশোরের খেজুর গুঁড়।
আগামী সপ্তাহে এই দুটো পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হবে বলে আশা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়।