বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে মর্টার শেল ও  চলছে গুলিবর্ষণ। এতে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তুমব্রু সীমান্তের কাছে দুই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশি অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশি দুই বাড়িতে মর্টার শেলের বিস্ফোরিত অংশসহ গুলি এসে পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকে এখন পর্যন্ত (সকাল) সীমান্তে মর্টারশেল ও গুলিবর্ষণ থেমে নেই। এতে রাত থেকে দুই গ্রামের (কোনাপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার) প্রায় তিন হাজার মানুষ নিরাপদে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলের বিস্ফোরিত অংশ ও গুলি এসে পড়েছে স্থানীয় দুই বাড়িতে।’ 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, রাত থেকে এখনও মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ চলছে মিয়ানমার সীমান্তে। এ ঘটনায় পশ্চিম পাড়ার ফরিদ আলমের বাড়িতে গুলি এবং কোনাপাড়া ইউনুছের বাড়িতে এসে পড়ে মর্টার শেলের খোসা। এতে বাড়ির টিন ছিদ্র হয়ে খোসাটি বাড়ির ভেতরে এসে পড়ে। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার আগে থেকেই কোনারপাড়ার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে গেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।  

তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা শাহাজান মিয়া বলেন, ‘ব্যাপক মর্টার শেল ও গুলিবর্ষণ চলছে সীমান্তে। ফলে এখানকার মানুষ অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। এখানে থমথমে অবস্থা। মানুষ রাত-দিন আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।’ 

এদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মিয়ানমার সীমান্তে গুলিবর্ষণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি। কোনোভাবে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া হবে না।’