গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা মারা যান। এ নিয়ে ইজতেমায় ১৪ জনের মৃত্যু হলো।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন— রাজবাড়ী জেলার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের মো. আলম, নরসিংদী জেলার মো. শাহনেওয়াজ ও সিরাজগঞ্জ জেলার আল মাহমুদ।যোবায়েরপন্থী (সুরা নিজাম) বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া সাতজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় ফজরের নামাজের পর হেদায়েতের বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর নসিহতমূলক কথা বলবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। সবশেষ সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দানে দ্বিতীয় দিনেও বয়ান করেন মুরুব্বিরা। আজ আখেরি মোনাজাতে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপ। আর এরই মধ্যে শেষ হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর।