টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণ জমায়েত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে হাজার হাজার মুসল্লি হেঁটে হেঁটে টঙ্গীর তুরাগতীরে ইজতেমা ময়দানে যাচ্ছেন। ফজর থেকেই গাজীপুরসহ ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের ঢল বাড়ছে। বাদ ফজর বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। আখেরী মোনাজাতে শরিক হতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসছেন দলে দলে। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এ ঢল অব্যাহত থাকবে। মোনাজাতে শরিক হতে বিপুলসংখ্যক মহিলা টঙ্গীর আশপাশে এসে অবস্থান নিয়েছেন। ফজরের নামাজের পর বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর শুরু হবে হিদায়াতী তথা দিক নির্দেশনা মূলক বয়ান। হিদায়াতী বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা।ইজতেমার এই পর্বে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, লিবিয়া, আফ্রিকা, লেবানন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরাক, সৌদি আরব, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৭২টি দেশ থেকে ৮ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেছেন।
আখেরি মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদফতর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। গণযোগাযোগ অধিদফতর ইজতেমা ময়দান থেকে আবদুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগাআলী, টঙ্গী রেলস্টেশন, স্টেশন রোড ও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগের ব্যবস্থা করেছে।
মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে আসা এবং আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ টঙ্গীমুখী সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস-টঙ্গী, মীরের বাজার থেকে টঙ্গী অংশ সহ আশেপাশের সড়কে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ ট্রাফিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, অসুস্থ ও বার্ধক্য জনিত কারণে গতকাল রাতে ইজতেমায় আগত আরও ৬ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।