× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১০ এএম । আপডেটঃ ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২১ এএম

সংগৃহিত ছবি

‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী ৩৬ তম জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে এ উৎসবের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। কবি নির্মলেন্দু গুণ এক ভিডিও বার্তায় উৎসবের উদ্বোধন করেন। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে উৎসবস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি। 

উৎসবে উদ্বোধনের পর ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন ও ইরানের আমন্ত্রিত কবিরা মুক্ত আলোচনা ও কবিতা পাঠ করেন। এরপর পাঁচ পর্বে প্রথম দিনের কবিতা পাঠ চলছে। 

উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত ও জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৪ এর আহ্বায়ক শিহাব সরকার বক্তব্য রাখেন। এর আগে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান সুলতান, ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আসলাম সানী।

উদ্বোধকের বক্তব্যে নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আমাদের অগ্রজ কবিরা যাঁরা এতদিন আমাদের মাথার উপরে ছিলেন, তাঁরা ক্রমে ক্রমে হারিয়ে গেছেন। বয়সের হিসেবে বাংলাদেশের জীবিত কবিদের মধ্যে আমার স্থান হলো দ্বিতীয়। আর আমার কবিবন্ধু মহাদেব সাহা তিনি আমার চেয়ে এক বছরের বড়। আমার মাথার ওপরে তিনি আছেন।

কবিতা পরিষদের জন্মলগ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে জনমত সৃষ্টি করার জন্য ১৯৮৭ সালে কবিতা পরিষদ গঠিত হয়েছিল। যাতে আমাদের কবিরা এরশাদের দলভুক্ত না হন, তাদেরকে নিবৃত্ত করার জন্য। তখন এরশাদ সাহেব নিজেই কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। তার কবিতা দেদারছে ছাপা হতে শুরু করে।

আমাদের দেশের বেশকিছু কবিও বঙ্গভবনে আয়োজিত কবিতা পাঠের আসরগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করে। এটা আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত ছিল। ফলে আরেকটা নতুন প্ল্যাটফর্ম এরশাদের বিরুদ্ধে তৈরি করার জন্য জাতীয় কবিতা পরিষদের জন্ম হয়।

কবিরা তাঁদের কবিতা দিয়ে দেশ-কাল-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুগ যুগ ধরে প্রতিবাদ করে চলেছে মন্তব্য করে সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এই মুহূর্তে ইসরাইল গাজার প্রায় ২২ লক্ষ শিশু-নারী- প্রবীণসহ প্যালেস্টাইন জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে নতুন করে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তাই যুদ্ধ ও গণহত্যার বিশ্ব ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে যৌক্তিক বিবেচনায় ৩৬ তম জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৪—আমরা শ্লোগান দিয়েছি, যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে এবার কবিতা উৎসবের প্রতিপাদ্য মূলত যুদ্ধ ও গণহত্যা।



National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.