দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে রাতে নির্বাচন ভবনে প্রতিরক্ষা সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির অনুমতি মিললে ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী।
তারা সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনে চাচ্ছে। কীভাবে মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় কীভাবে কাজ করবে– ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে মোতায়েন হবে– তাহলে অবশ্যই হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবে চায় সেভাবেই আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।ইসির সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ইসি চাচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক। ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার সামান্যতম সন্দেহ নেই।
তারা ‘ভেরি সিরিয়াস’ একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার ব্যাপারে। রাষ্ট্রপতি আদেশ দিলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। যাতে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়। অতীতেও সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে মোতায়েন হয়েছে এবারও সেভাবে হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। সেনাবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) থাকবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয়নি। গতবার ৩৫ হাজারের মতো সদস্য ছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করব। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনী এবং ৮৭ উপজেলায় বিজিবি ছিল।