সিলেট ১০ নম্বর কূপের একটি স্তরে তেলের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া, সেখানকার চারটি স্তরে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।এই বিজয়ের মাসে বিরাট সুখবর উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে।এ ছাড়া ওই কূপের তিনটি স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুই মাস আগে এ কূপ খনন শুরু হয়।তিনি বলেন, তেল ছাড়াও কূপের চারটি স্তরের গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মজুতের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।এখানে টেস্ট করলে আড়াই থেকে তিন কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। এ ছাড়া দুই হাজার ২৯০ থেকে দুই হাজার ৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।এতে আরও বলা হয়, দুই হাজার ৫৪০ এবং দুই হাজার ৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর এটি অব্যাহত থাকবে এবং গড় ভারতের মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ।এর আগে সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালে তেলের মজুদ পাওয়া যায়। এরপর টানা সাত বছরে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ ব্যারেল তেল উত্তোলনের পর ১৯৯৪ সালে কূপটি থেকে প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টানা সাত বছরে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ ব্যারেল তেল উত্তোলনের পর ১৯৯৪ সালে কূপটি থেকে প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার দশক পর সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে আবারও মিললো মূল্যবান খনিজ তেলের উপস্থিতি।২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, নতুন গ্যাস সংযোগে শিল্পখাতকে গুরুত্ব দেয়া হবে।