বাংলাদেশে দ্বিতীয় বারের মতো ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। মৃত ঘোষণা করা ৩৮ বছর বয়সী একজন পুরুষের কিডনি দুজন কিডনি আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আরেকটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে।
তার কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ রাত সাড়ে আটটায় শুরু হয়। অস্ত্রোপচারে সময় লাগবে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো।
বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তিনি কিডনিদাতা এবং গ্রহীতাদের বিস্তারিত পরিচয় দেননি।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতিতে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
তিনি জানান, ৩৮ বছরের একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অপর দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সারাহের তার চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর দুজনকে।
সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্য জনের মৃত্যু হয়েছে।