× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

প্রাথমিকে দুপুরে খিচুড়ির বদলে ডিম, দুধ-রুটির প্রস্তাব

ন্যাশনাল ট্রিবিউন

২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ এএম । আপডেটঃ ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ এএম

প্রতীকী ছবি

দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমি ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও পাউরুটি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এই প্রকল্প সফল হলে সারা দেশে এ কর্মসূচি চালু করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত টিফিনের সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হবে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারে খিচুড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে সমালোচনার মুখে ওই প্রকল্প বাতিল করা হয়।

খিচুড়ির পরিবর্তে স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে ডিম, পাউরুটি, দুধ, বিস্কুট বিতরণ করা যেতে পারে। তবে ঘুরেফিরে শঙ্কার জায়গাটি হচ্ছে দুর্নীতির ব্যাপকতা। পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত ও ভালো ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে। খাদ্যে পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক এই প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৪ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) অনুদান দেবে ৬৪ কোটি টাকা। এ–সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী বৃহস্পতিবার এ প্রকল্পের ওপর আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে পরিকল্পনা কমিশন। শিশু শিক্ষার্থীদের মিড–ডে মিল দেওয়া সরকারের অগ্রাধিকারে থাকায় প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পরিকল্পনা কমিশন থেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বৈচিত্র্যময় খাবার দিলে হবে না। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা না গেলে খিচুড়ির বদলে অন্য খাবার দিলেও সুফল পাওয়া যাবে না। এর আগে ২০২১ সালে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি ও এক দিন বিস্কুট খাওয়ানোর প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তখন এ প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। একই বছর ১ জুন ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ শিরোনামের প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খিচুড়ি বিতরণের প্রস্তাব বাতিল করে দেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবসম্মত ও কার্যকর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিকল্প খাবার কী দেওয়া যায়, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাতে শিক্ষার্থীরা দুধ, পাউরুটি, ডিমের ওপর জোর দেয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ তিন বছর। পরে মেয়াদ বাড়ানো হবে।

সরকারি ক্রয়বিধিমালার আলোকে সবকিছু কেনাকাটা হবে। খাবার বিতরণ করবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মী ও প্রকল্পে নিয়োগকৃত কর্মীরা। দারিদ্র্যপ্রবণ উপজেলাকে প্রথম দফায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী  বলেন, খিচুড়ির পরিবর্তে স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে ডিম, পাউরুটি, দুধ, বিস্কুট বিতরণ করা যেতে পারে। তবে ঘুরেফিরে শঙ্কার জায়গাটি হচ্ছে দুর্নীতির ব্যাপকতা। পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত ও ভালো ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে। খাদ্যে পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে।



National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.