× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল চিনি খেজুরের শুল্ক কমছে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:০০ এএম । আপডেটঃ ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯ এএম

রমজানে সাধারণ মানুষকে ভোজ্যতেল চিনি খেজুর সাশ্রয়ী দামে খাওয়ানোর জন্য এই নিত্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হতে পারে। পণ্যগুলো হলো ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। সাধারণত এসব পণ্যের চাহিদা রমজানে বেশি বাড়ে। দাম যাতে সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

রবিবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় এসব পণ্যে শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। বলা হয়, এসব পণ্যের সরবরাহ আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে বাজারে সংকট তৈরি হবে। এতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজনের কথা বিবেচনা করে শুল্ক কমানোর সুবিধা দেওয়া হতে পারে। পরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দু-এক দিনের মধ্যে এ চিঠি পাঠাতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

এনবিআর সূত্র জানায়, তারা এখনো চিঠি পায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর সম্মতির জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তার পরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে এনবিআর। 

বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রমজানে চাহিদা প্রায় পৌনে তিন লাখ টন। চিনির বাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে গত নভেম্বর এর শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়। অপরিশোধিত ও পরিশোধিত উভয় চিনির শুল্ক কমানো হয়। তখন পরিশোধিত প্রতি টন চিনির শুল্ক ছয় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। 

পক্ষান্তরে অপরিশোধিত বা কাঁচামাল চিনির শুল্ক প্রতি টন তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়। তার পরও চিনির বাজার স্থির হয়নি। বরং দাম আরও বেড়ে গেছে। বর্তমানে চিনির কেজি ১৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চিনির সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের দিক থেকে চিনি একটি বড় খাত। চিনির শুল্ক অর্ধেক কমানোর ফলে এ খাত থেকে ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হবে বলে এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন। রমজানকে সামনে রেখে এখন নতুন করে শুল্ক আরও কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। 

ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রমজানে চাহিদা ৩ লাখ টন। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের দাম গত দুই বছর ধরে বৃদ্ধি পেলে সরকার এর ওপর থেকে আমদানি পর্যায়ে শুধু ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট বহাল রেখে বাকি সব শুল্ক কর তুলে দেয়। এই সুবিধা দুই বছর দেওয়ার পর ২০২৩ সালের জুনে বাতিল করে।

বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেলের মোট শুল্ক কর প্রায় ৩০ শতাংশ। ভোজ্যতেলের ওপর থেকে শুল্ক কর আবারও কমানোর জন্য প্রস্তাব করা হচ্ছে। এখন বাজারে এক লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল ১৭৩ টাকা। পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা। সরকার আশঙ্কা করছে, বাড়তি চাহিদার কারণে রমজানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য কর কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। 

খেজুরের বার্ষিক চাহিদা এক লাখ টন। এর মধ্যে রমজানে চাহিদা ৫০ হাজার টন। আগে খেজুর আমদানিতে কোনো শুল্ক কর ছিল না। সরকার খেজুর আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে চলতি বাজেটে এই খাদ্যপণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, খেজুরের ওপর প্রায় ৬৫ শতাংশ শুল্ক কর আরোপ করা হয়। যে কারণে খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। 


National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.