× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভূমি মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে নিবন্ধন বিভাগ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৩ এএম । আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৩ এএম

নিবন্ধন অধিপ্তর।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে সরকারের নিবন্ধন অধিদপ্তরকে (রেজিস্ট্রেশন বিভাগ) আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার চূড়ান্ত তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই সারা দেশের জেলা ও সাব-রেজিস্ট্রারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এই স্থানান্তর আইনি জটিলতা তৈরি করবে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভার কার্যপত্রের ৩ নম্বর এজেন্ডা হিসেবে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিমুক্ত ও দ্রুত সেবা দিতে ‘এক ছাতার নিচে সব ভূমিসেবা’ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বর্তমানে দলিল নিবন্ধন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং নামজারি ও রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়। এই দূরত্ব ঘোচাতেই দলিল নিবন্ধন কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা এই উদ্যোগকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ জানান, ২০০৭ সালে একই ধরনের একটি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট (নং ২৫১-২০০৮) করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ আদালত এক আদেশে রিটটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদপ্তর স্থানান্তরের কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ফলে এই মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হতে পারে।

বিক্ষুব্ধ সাব-রেজিস্ট্রারদের মতে, ভূমি মন্ত্রণালয় নিজেই বর্তমানে হাজার হাজার মামলার জট ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। নামজারি বা মিউটেশন সেবা দিতেই যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে নতুন করে নিবন্ধন বিভাগ যুক্ত হলে জনভোগান্তি আরও বাড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন। ভূমি সেবা বর্তমানে অটোমেশনের পথে রয়েছে এবং ১৭টি অফিসে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফলভাবে চলছে। বিভাগটি যখন গুছিয়ে উঠছে, তখন একটি পক্ষ নিজেদের স্বার্থে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে এই পরিবর্তন স্থায়ী টেকসই হবে না।

দীর্ঘদিনের এই প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন নিয়ে এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে তা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় যেমন বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে, তেমনি আইনি লড়াইয়ের নতুন পথও উন্মোচিত হতে পারে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006 ,01922575574

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.