× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পুলিশ সংস্কারে কমিশন গঠন চূড়ান্ত

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ এএম । আপডেটঃ ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ এএম

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে পুলিশ কমিশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়েছে। ছবি: পিআইডি

পুলিশের জবাবদিহি ও সংস্কারের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। এই কমিশন মূলত নাগরিক অভিযোগ অনুসন্ধান, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন এবং পুলিশকে জনমুখী করতে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর আওতায় গঠিত এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হবে পুলিশকে প্রভাবমুক্ত, জনবান্ধব ও মানবাধিকার সংবেদনশীল করা এবং তাদের আধুনিকায়নের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।

কমিশনের সদস্য কারা? পাঁচ সদস্যের এই কমিশন গঠিত হবে নিম্নলিখিত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে:

১. প্রধান: সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। 

২. সদস্য: একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ। 

৩. সদস্য: অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 

৪. সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক (কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত)। 

৫. সদস্য: মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি।


কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়, একটি বাছাই কমিটির মাধ্যমে নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে এবং তার ভিত্তিতে সরকার নিয়োগ দেবে। বাছাই কমিটিতে প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং জাতীয় সংসদের দুজন প্রতিনিধি থাকবেন।

কমিশনের প্রধান কাজ:

  • পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা।
  • পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভের নিষ্পত্তি করা।
  • পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান।
  • পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা।


তবে, উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান স্পষ্ট করেন যে, কমিশন কেবল সুপারিশ ও পরামর্শ দেবে—তা মানতে সরকার বাধ্য থাকবে না।

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খসড়া অধ্যাদেশ ও সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। পোস্টাল ভোটের গণনাপদ্ধতি সংক্রান্ত সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে একাধিক সিল পড়া বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকা ব্যালট বাতিল বলে গণ্য হবে। এটি ভবন নির্মাণসংক্রান্ত বিধি (বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড) সারা দেশে যথাযথভাবে পালন নিশ্চিত করবে। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে হাইটেক পার্কের জন্য বরাদ্দকৃত জমি অব্যবহৃত থাকলে তা সরকার ফেরত নিতে পারবে—এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

বন ও পরিবেশ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ‘বন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ অধ্যাদেশ’ এবং ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধসংক্রান্ত অধ্যাদেশটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চূড়ান্তকরণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.