আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও মুদ্রণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে ভোটার এলাকা স্থানান্তর (মাইগ্রেশন) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ফলাফল প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, নতুন ভোটার নিবন্ধন এবং সংশোধনের আবেদন গ্রহণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এস এম হুমায়ুন কবীর নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এখন অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। ভোটার তালিকা নির্ভুল রাখতে ইসি কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে:

• ভোটার এলাকা স্থানান্তর (মাইগ্রেশন) সম্পূর্ণ বন্ধ: নির্বাচনকেন্দ্রিক তালিকায় কোনো ব্যক্তি যেন দুই জায়গায় ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই মাইগ্রেশন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় এখন নতুন করে কোনো মাইগ্রেশন আবেদন গ্রহণ করা হবে না এবং আবেদনের অনুমোদনও দেওয়া হবে না।

• এনআইডি সংশোধনের ফলাফল প্রদান স্থগিত: বর্তমানে সংশোধনের আবেদনগুলো নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। তবে, আবেদনগুলোর ফলাফল এখনই প্রকাশ করা হবে না। ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষ হওয়ার পর সব ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে। তবে, মহাপরিচালক জানান, গতকাল (তারিখটি ধরে নেওয়া হয়েছে) বিকেল চারটার আগে যে আবেদনগুলোর ফল প্রস্তুত হয়েছে, সেগুলো আবেদনকারীরা পেয়ে যাবেন।

নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু রেখেছে ইসি:

• নতুন ভোটার নিবন্ধন: ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নাগরিকদের নতুন করে ভোটার হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই চলমান থাকবে।

• সংশোধনের আবেদন গ্রহণ: জন্মতারিখ বা ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন বা মাইগ্রেশন ছাড়া অন্যান্য কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন।

ইসি জানিয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, কেবল তাদেরকেই এই নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।