বাংলাদেশে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ এবং বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র। দুটি সংস্থাই পৃথক বিবৃতিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি তাদের গভীর সহানুভূতি জানিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। এই বিপর্যয়ের পরপরই বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় এবং ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দ্রুত সংহতির বার্তা প্রকাশ করে। তাদের এই বার্তা, শোকাহত দেশবাসীর জন্য একটি নৈতিক সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিবৃতিতে বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে:
বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা সামগ্রিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিবৃতিতে সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি গভীর সমবেদনা ও পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে।
ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও পৃথক এক বার্তায় আজকের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের প্রতি তাদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
আন্তর্জাতিক মহল থেকে এমন দ্রুত প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের প্রতি তাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও মানবিক সংহতিকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসজিএস ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ও মাত্রা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
| সূত্র | বিবরণ | মাত্রা | উৎপত্তিস্থল |
| বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর | আঘাত হানার সময়: সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট। | ৫.৭ (রিখটার স্কেলে) | নরসিংদীর মাধবদী (ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিমি পূর্বে)। |
| মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) | উৎপত্তি গভীরতা: ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। | তথ্য নেই | নরসিংদী থেকে ১৪ কিমি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে। |
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।