× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সেনাকুঞ্জে সৌজন্য বিনিময়ে হাসিমুখে অধ্যাপক ইউনূস ও খালেদা জিয়া

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২১ নভেম্বর ২০২৫, ২০:১৮ পিএম । আপডেটঃ ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৫ পিএম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা হয়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেনাকুঞ্জে এসে উপস্থিত হতে থাকেন।


বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গাড়ি থেকে নেমে তিনি হুইলচেয়ারে করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। উল্লেখ্য, এক বছর পর তিনি সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। একান্ত আলাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময়: অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে খালেদা জিয়া একান্তে কয়েক মিনিট কথা বলেন। এরপর তাঁরা মূল অনুষ্ঠানস্থলে যান এবং পাশাপাশি আসনে বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এবং খালেদা জিয়াকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়, যা উপস্থিত অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।


সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করেন। জবাবে বিএনপির চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সহধর্মিণী আফরোজা ইউনূসের শারীরিক অবস্থারও খোঁজ নেন।


এ সময় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন:

  • জন্ম ও গৌরব: বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল। এই সম্মিলিত অভিযানকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়।
  • সংগ্রামের সূচনা: মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটেছিল ২৫ মার্চের কালো রাত থেকেই।

বিজয় ও বীরত্ব: তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি বিজয় অর্জন না হতো, তবে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জীবন হতো অসহনীয়। ’৭১ সালের ২১ নভেম্বরের যৌথ অভিযানই ১৬ ডিসেম্বরে স্বাধীনতাসংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল। এই অভিযান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টাগণসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ আরও অনেকে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.