ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্যাপক জনসচেতনতা ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রচার কার্যক্রমের আওতায় দেশের ৩০০টি উপজেলায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহিত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি (ইসিসি)-র বৈঠকে এই ক্যাম্পেইনটি সরাসরি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি দেওয়ায় সরকারের দ্রুত কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা স্পষ্ট।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই এই জনসচেতনতা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আনুমানিক এই ক্যাম্পেইনের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতে যাওয়া এই প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
এই মেগা-ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দেশের ৬৪ জেলা এবং ৩০০টি উপজেলায় বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। মূলত নিম্নলিখিত পদ্ধতি ও উপকরণ ব্যবহার করা হবে:
এলইডি অ্যাকটিভেশন ক্যারাভান: আধুনিক এলইডি ডিসপ্লেযুক্ত বিশেষ যানবাহনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী চালানো হবে।
টিভিসি ও ভিডিও ডকুমেন্টারি: ভোটদানের গুরুত্ব, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তৈরি করা হবে টেলিভিশন কমার্শিয়াল (টিভিসি) এবং তথ্যচিত্র।
বিভিন্ন কনটেন্ট প্রচার: অন্যান্য আকর্ষণীয় ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচারের মাধ্যমে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
সরকারের মূল লক্ষ্য হলো আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের দ্বিধা বা ভীতি না থাকে। বরং একটি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক নির্ভয়ে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।