জুলাই হত্যাকাণ্ডের (২০২৪) মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে দ্রুত বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক ও জোরালো আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আজ সোমবার এই দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কূটনৈতিক তৎপরতার কথা নিশ্চিত করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিজ্ঞপ্তিতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে কোনো দ্বিতীয় দেশ যদি আশ্রয় দেয়, তবে তা 'অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল' হবে।দ
দিল্লিকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশের আহ্বান:
অবিলম্বে হস্তান্তর: ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রয়োগ: বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি (Extradition Treaty) অনুসারে দুজনকে হস্তান্তর করাটা ভারতের জন্য 'অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব'।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আত্মগোপনে যান এবং পরবর্তী সময়ে তাঁকেও ভারতে দেখা যায়। ভারত থেকেই তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হলেও এ বিষয়ে ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। আইসিটি-র রায়ের পর এবারের আহ্বানটি তাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কূটনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে।