ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কঠোর ভাষায় এসব সংবাদ প্রত্যাখ্যান করেন।মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "যা–ই কিছু ঘটুক না কেন, ভারতের গণমাধ্যম দোষ চাপানোর চেষ্টা করে থাকে। এমন কথা বিশ্বাসের কোনো কারণ নাই। কোনো বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এগুলো বিশ্বাস করবে না।"গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার কাছে এক গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে নাশকতা বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বাকে এই হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে হামলা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকেরা সম্প্রতি জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যে কেউ জাতিসংঘে যেকোনো কিছু আবেদন করতে পারে। জাতিসংঘ যদি বাংলাদেশকে কিছু বলে, তখন আমরা দেখব। জাতিসংঘ আমাদের কিছু বলেনি।”এছাড়াও, মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র এই আইন করছে। আইনটিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে। তবে এই আইন চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা নিয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আনবে এমন সম্ভাবনা দেখছেন না পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।