আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কোর কমিটির সভা সূত্রে জানা গেছে, আপাতত সরিয়ে নেওয়া এই সেনাসদস্যদের বিশ্রাম এবং নির্বাচনকালীন প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। বুধবার (আজ) থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে অর্ধেক সদস্যকে তুলে নেওয়ার পর তাঁদের বিশ্রাম ও প্রশিক্ষণ শেষে আবার মাঠে পাঠানো হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাকি অর্ধেক সদস্যকে প্রত্যাহার করে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
সরকারের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে একটি কৌশলগত উদ্দেশ্যও কাজ করছে। সরকার দেখতে চায় যে, এই প্রত্যাহারের পর মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক থাকে এবং জনমনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নানাবিধ নতুন জটিলতা তৈরি করছে বলেও সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে।
তবে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে—এ বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষাপটে এখনো মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।