× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গণভোট: দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধান উপদেষ্টা, জানালেন আসিফ নজরুল

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১২ পিএম । আপডেটঃ ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৩ পিএম

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

গণভোট কবে হবে, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে যখন পাল্টাপাল্টি অবস্থান চলছে, ঠিক তখনই তিনি এ কথা বললেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই তথ্য জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল মন্তব্য করেন, গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ এখন তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা থাকব। আমরা সহায়তা করার জন্য থাকব। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা নেবেন।…দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়–সংক্রান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে। তাতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে এই সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে:

জামায়াতে ইসলামী: জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।


বিএনপি: নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে। এর বাইরে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।


বিএনপির ক্ষোভ: জুলাই সনদের বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়েও বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দলটি বলছে, মূল সনদের বাইরে অনেক বিষয় এখানে যুক্ত করা হয়েছে।

দলগুলোর এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “২৭০ দিন আলাপ–আলোচনা করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখা যাচ্ছে, তা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে সমঝোতা দলিল পাশ করা সরকারের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, দলগুলোকে এত আলোচনার সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছে, তাতে জুলাইয়ের স্পিরিটকে (চেতনা) তারা কোথায় নিয়ে গেছে, এটা তাদের বিবেচনা করা উচিত। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এককভাবে তাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য সরকারকে জোর করে, তার মানে হচ্ছে তাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই। তারা চাচ্ছে, সরকার যেন তাদের দলীয় অবস্থান নেয়।

জুলাই সনদ নিয়ে এই অনৈক্যের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল দৃঢ়ভাবে বলেন, “যে যেটা বলুক, আমরা ফেব্রুয়ারি প্রথমার্থে জাতীয় নির্বাচন করব।…ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচিত সংসদের সংস্কার করার কোনো দায়–দায়িত্ব থাকবে না—সব অন্তর্বর্তী সরকারকে করে যেতে হবে, এমনটা কোনো বেদবাক্য নয়। সরকার যতটুকু পারে করবে। সম্ভব হলে সবই করবে। তবে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য লাগবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.