জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেনকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রোববার গভীর রাতে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সহপাঠীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন (২৩) হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা আক্তার। আজ সোমবার সকালে তিনি নিজে ছেলেকে নিয়ে পুরান ঢাকার বংশাল থানায় যান।
নিহত জোবায়েদ জবি'র ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জবি শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাহিরের খালু ইমরান শেখ সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, ‘খুনের ঘটনায় মাহিরের সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে মাহিরের মা রেখা আক্তার আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে মাহিরকে নিয়ে বংশাল থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।’
তবে পুলিশ সরাসরি এই তথ্য স্বীকার করেনি। পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, মাহিরসহ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘আমরা এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছি। শিগগিরই তা জানানো হবে।’
পুলিশের লালবাগ বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জোবায়েদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ওই ভবনের একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন।
সহপাঠী ও পুলিশের তথ্যানুসারে, জোবায়েদের লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বংশাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জুবায়েদকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে তিনজন ছিল। তবে ছুরিকাঘাত করেন মাহির।
জোবায়েদকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার গভীর রাতে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
খুনের ১৮ ঘণ্টা পরও এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ছাত্রীসহ মোট ছয়জনের নামে মামলা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বংশাল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এতজনের নামে মামলা না দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বলেন, ‘এতজনের নামে মামলা দিলে হালকা হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত উপকমিশনার আমিনুল কবীর বলেন, জোবায়েদের পরিবার দাফনের কাজে ব্যস্ত ছিল। দাফন কার্যক্রম শেষ করে তারা রাতেই মামলা করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh