মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভে আহত 'জুলাই যোদ্ধা' আতিকুল ইসলামকে (আতিকুল গাজী) উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় তাঁর কৃত্রিম হাতটিও রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভকারী ‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম (আতিকুল গাজী)। পুলিশের লাঠিপেটায় তাঁর কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাতটি ভেঙে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আহত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আমার একটা হাত নেই, সেটা কৃত্রিম। পুলিশ বাড়ি মেরে সেটাও ভেঙে ফেলেছে। আমার কি পর্যাপ্ত টাকা আছে যে আমি আরেকটা হাত কিনে নেব? এটা কি রাষ্ট্রের কোনো কার্যক্রম হতে পারে? এটা কোনো রাষ্ট্রের কার্যক্রম হতে পারে না।”
তিনি জানান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর সদস্যরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির জন্য সংসদ ভবনের সামনে ঘেরাও করেছিলাম। যার জন্য আমাদের ওপর আগে চড়াও হয়ে আক্রমণ করে।”
গতকাল রাত থেকে আতিকুল ইসলামসহ কয়েক শ ব্যক্তি নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁদের মূল দাবি হলো, দাবি মেনে নেওয়া না হলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর হতে দেবেন না।
বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার সকালে সংসদ ভবনের প্রাচীর টপকে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা অনুরোধ করলেও তাঁরা সরছিলেন না। পরে একপর্যায়ে পুলিশ জোর করে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
শুক্রবার দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। বিক্ষুব্ধরা পুলিশের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং সড়কে আগুন জ্বালান।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ঢিল ছোড়াছুড়ি এবং পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানোর মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। বৃষ্টির কারণে বিকেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আতিকুল ইসলামও ছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আতিকুল ইসলাম জানান, ডাক্তার তাঁকে ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং একটি এক্স-রে করেছেন। তিনি বলেন, “ডাক্তার বলেছেন, হাড় ভাঙেনি, তবে একটু নড়ে গেছে। আমি ট্রিটমেন্ট নিয়ে বাসায় আসলাম একটু বিশ্রামের জন্য। ডাক্তার বলেছেন, কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh