ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশি দিনমজুরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। এই 'জঘন্য কর্মকাণ্ড'কে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন উল্লেখ করে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতার (মব) হাতে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্মমভাবে প্রহার ও হত্যার ঘটনা 'অগ্রহণযোগ্য'। বাংলাদেশ সরকার এই দুঃখজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এ ধরনের অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ভারতকে আন্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, দোষীদের শনাক্ত করে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, জাতীয়তা নির্বিশেষে যেকোনো ব্যক্তি অসাবধানতাবশত সীমান্তের যেকোনো পাশে যেতে পারে, কিন্তু এ অবস্থায় তাঁর মানবাধিকারের পূর্ণ সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (তারিখ উল্লেখ না থাকলে গত বুধবার ধরে) ত্রিপুরার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় গরুচোর সন্দেহে স্থানীয় লোকজন তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে ভারতের বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে বিজিবি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, নিহত তিনজন হলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পণ্ডিত মিয়া (৪০), সজল মিয়া (২৫) ও জুয়েল মিয়া (৩৫)। তাঁরা পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
নিহতদের পরিবারের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ না থাকলে গতকাল ধরে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরে ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করে।