× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

উত্তরে ৪ জেলায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা: তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৫ পিএম । আপডেটঃ ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২১:১৫ পিএম

ফাইল ছবি

দেশের উত্তরাঞ্চলের চারটি জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ও ভারতের উজানে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দেওয়ার প্রবল শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এফএফডব্লিউসি-এর বিশেষ বার্তা অনুযায়ী, রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা বা কাছাকাছি সময়ে দেশের ভেতরে ও উজানে আরও ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর প্রভাবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।


  • বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তা: শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৬৯ সেন্টিমিটার, যা বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে ছিল (৫২.৪৮ মিটার)।


  • উজানে ভারতের দোমুহনীতে তিস্তার পানি ইতিমধ্যেই বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


  • বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র সতর্ক করেছে যে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তিস্তা নদী বিপৎসীমার ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।


  • ধরলা ও দুধকুমার: ভুটানের 'ওয়াংচু' নদীর পানি 'তালা' বাঁধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ধরলা ও দুধকুমার নদীর উজানেও দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে।


বন্যা পরিস্থিতির মূল কারণ উজানে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত। এফএফডব্লিউসি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ওই অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে:

  • দার্জিলিংয়ে ২৬১ মিলিমিটার
  • কোচবিহারে ১৯০ মিলিমিটার
  • জলপাইগুড়িতে ১৭২ মিলিমিটার
  • শিলিগুড়িতে ১৩৪ মিলিমিটার
  • দেশের ভেতরে পঞ্চগড়ে ১১৮, ডালিয়ায় ৮৫ ও পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে।


ভারি বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যেই ভারতের দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে ১৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ভূমিধসের ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে, এর আগে আগামী ৭ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আক্রান্ত হতে যাওয়া জেলাগুলোর বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.