× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে বড় রদবদল, চলছে যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৯ এএম । আপডেটঃ ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মাঠ প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও জোর কদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।

সূত্রমতে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রশাসনে আরও ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য যোগ্য কর্মকর্তা বাছাইয়ের (ফিটলিস্ট) কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। যদিও আগামী নির্বাচনে ডিসিরা এই দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সে বিষয়ে ইসি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি, তবে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্ব বিবেচনা করেই সরকার যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিচ্ছে।

ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কয়েকটি ধাপে মোট ১২টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে। প্রথম ধাপে পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, নেত্রকোণা ও খুলনা—এই ছয় জেলায় ডিসি পদে পরিবর্তন আসে। পরে চট্টগ্রাম, নরসিংদী ও নওগাঁয় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন কর্মকর্তাকে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ এবং অন্যদের বদলি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো জরুরি। তাঁর মতে, কোনো ধরনের তদবির নয়, যোগ্য, অভিজ্ঞ, দক্ষ, কৌশলী ও সাহসী কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে নিয়োগ দিতে হবে। তিনি আরও পরামর্শ দেন, ডিসিকে জেলার পরিস্থিতি বুঝতে সময় দিতে হয়, তাই আরও আগেই মাঠ প্রশাসন সাজানো দরকার ছিল।

তিনি জোর দেন যে নির্বাচন কেবল ডিসিদের উপর নির্ভর করে না; সেখানে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও রয়েছে। সরকারের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে মাঠ প্রশাসনকে কাজ করতে হয়।

এদিকে, ডিসি পদে রদবদল নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, মেধাবী কর্মকর্তারাও গুরুত্বহীন পদে সরিয়ে রাখা হচ্ছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শেখ হাসিনার আমলের মতোই প্রশাসনে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ২১ জন ডিসিকে প্রত্যাহার করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ ডিসির পদটি উপ-সচিব পদমর্যাদার। এই ২১ জেলায় বদলির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে এই জেলাগুলোর ডিসিরা গত মার্চে উপ-সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হয়েছেন।

এছাড়া, সামনে জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন থাকায়, এবার নতুন করে ২৮তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাকে ডিসি পদে নিয়োগের চিন্তাভাবনা চলছে।

অন্যদিকে, ডিসি নিয়োগসহ বিভিন্ন বিতর্কের মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই জনপ্রশাসন সচিবসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে রদবদল করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ সাজানোর দায়িত্ব পালন করবেন জনপ্রশাসন সচিব। এ কারণে এই পদে কে আসছেন, তা নিয়ে প্রশাসনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.