জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবনাগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এই প্রস্তাবনাগুলোকে টেকসই ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে গণভোট বা গণপরিষদ (সংবিধান সংস্কার সভা) গঠনের মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায় যাচাই করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাম্প্রতিক বৈঠকে এই মতামত উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ নেই) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনলাইনে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বিশেষজ্ঞরা সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার বাস্তবায়নে জনগণের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
আলোচনায় যে বিকল্পগুলো প্রাধান্য পেয়েছে, সেগুলো হলো:
এ ছাড়াও, জুলাই সনদ নিয়ে সংবিধান আদেশ জারি করা এবং সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় ছিল।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। তবে মূল বিতর্কটি সৃষ্টি হয়েছে সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান:
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। তিন দিনের আলোচনায় এখন পর্যন্ত ঐকমত্য না হওয়ায় আলোচনা আপাতত মুলতবি আছে। আগামী ৪ বা ৫ অক্টোবর পুনরায় আলোচনা শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে তারা সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ উপস্থাপন করবে।
কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, সনদ বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে গণভোট, গণপরিষদ, সংবিধান আদেশ জারি, সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া—এসব বিষয় আলোচনায় এসেছে। এই আলোচনার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
কমিশনের পক্ষে আলোচনায় ছিলেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ার যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও বৈঠকে অংশ নেন।
মনির হায়দার বলেন, সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের অভিপ্রায় যাচাই করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সর্বাধিক উৎসাহ দেখিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh