মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ এবং সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ বাণী দিয়েছেন তিনি। আগামীকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত। তিনি আরও বলেন, মহানবী ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। তিনি সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার ও পাপাচার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অপরিমেয় দয়ার জন্য পবিত্র কুরআনে মহানবী (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগের মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে কাজ করবে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক।