× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভোটের আইনে বড় পরিবর্তন, আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:১৭ এএম । আপডেটঃ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:২১ এএম

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার রাতে কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী, যেমন—সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডকে যুক্ত করাসহ মোট ৪০-৪৪টি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান মাসউদ জানান, ইসি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সমভোট পেলে লটারির বদলে আবার নির্বাচন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান বাদ দিয়ে একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোট যুক্ত করা, অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিল এবং ঋণ খেলাপের ক্ষেত্রে ভোটের পরে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত করা।

এর আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতামত আমলে নিয়ে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসি আরপিও সংশোধনের কাজ করে।

গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীগুলো হচ্ছে:

  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞা: বিদ্যমান বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান) এবং কোস্টগার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • ইভিএম বিলুপ্তি: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে।
  • জামানত বৃদ্ধি: প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • ‘না’ ভোট: শুধুমাত্র একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে।
  • পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী: নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত পর্যবেক্ষক এবং সংবাদকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোট গণনার সময় সংবাদকর্মীরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
  • ভোট বাতিল: অনিয়মের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চাইলে এক বা একাধিক অথবা পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারবে।
  • পুনঃনির্বাচন: সমান ভোট পেলে লটারির পরিবর্তে পুনরায় নির্বাচনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
  • হলফনামা: হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার পদ বাতিল হতে পারে।
  • রাজনৈতিক দলের অনুদান: ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রেই অনুদান বা ডোনেশনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে এবং আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে প্রার্থী, দল বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।


এই সংশোধনীগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (যাচাই) শেষে সরকারের অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপিত হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হবে। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আইনি সংস্কার চূড়ান্ত হবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.