× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক: শিক্ষা উপদেষ্টা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৫ পিএম । আপডেটঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৬ পিএম

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘সময় বেঁধে দিয়ে দাবির মুখে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি যৌক্তিক নয়।’

আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা হয়।

কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে গুলশানের পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগ হচ্ছে।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি আছে। সেখানে পরিষ্কারভাবে বলেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজকে চায় না। সাত কলেজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চায় না। এটা যুক্তিসংগত। এ কারণে সাত কলেজকে নিয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরি করার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের অধীন। এই সাত কলেজের মধ্যে তিতুমীর কলেজও আছে। তাদের ব্যাপারেও বিবেচনা করা হচ্ছে সেখানে। এসব কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিড়ম্বনা ও অসুবিধা নিয়ে সেখানে আলোচনা হচ্ছে।’

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের অনেক ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আছে। যেমন রাজশাহী কলেজ, বিএম কলেজ, আনন্দ মোহন কলেজ, এমসি কলেজ। প্রতিটি তো বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হয়নি।

তিতুমীর কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করা, ছাত্রদের আন্দোলন করা ভালো। কিন্তু একসময় না একসময় তো পরীক্ষা দিতে হবে। পড়ালেখা না করলে তো ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে না। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায়, অনেকে আমাকে লিখেছে। জনদুর্ভোগ না হয়…যদি কর্মসূচি দিতে হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া উচিত।’

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি যৌক্তিক নয়। সময় বেঁধে দেওয়ার দাবির মুখে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শুধু আমাদের সময় নয়, বহুদিন ধরে তা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বোঝা হয়ে থাকবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার এসব দাবিদাওয়া মানার জন্য আসেনি—মন্তব্য করে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা এসেছি একটা সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য। সময় যখন পাওয়া গেছে, কিছু ছোট ছোট সংস্কার করা যেতে পারে।’

গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তিতুমীর কলেজ সম্পর্কে বিশেষ বিবেচনা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো বিশেষ বিবেচনা করিনি। আমার লেখায় ছিল না। আমি যা লিখেছি, সচিব আরও কিছু সম্পাদনা করেছেন। তাঁরা করতে পারেন, বোধ হয় ডিপ্লোমেসি। আমি জানি না।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠিত টাস্কফোর্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সেখানে সরকারি খাতের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এটা সত্য। সরকারি খাতে দেশে ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে গত সাত বছরে অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এত দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির রেকর্ড বাংলাদেশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সাত-আট বছরে পরিকল্পনা এবং কয়েকটি কমিশন করা হয়েছিল।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: nationaltribune24@gmail.com

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.