× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম । আপডেটঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৫২ পিএম

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ফাইল ছবি

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এই রায়ের ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাঁদের সাজা হয়েছিল ও আপিল করতে পারেননি, তাঁরাও খালাস পেয়েছেন।

মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা আপিল মঞ্জুর করে আজ বুধবার রায় দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ রায় দেন।

রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আদালত। এ মামলায় যাঁরা আপিল করতে পারেননি, তারেক রহমানসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ খালেদা জিয়া পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর এবং সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এ ছাড়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ গত বছর পৃথক আপিল করেন।

খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর ৭ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। চতুর্থ দিনে গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়। আদালত আজ রায়ের জন্য দিন রাখেন। আজ সকাল পৌনে দশটার দিকে রায়ের আদেশ অংশটুকু ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। খালেদা জিয়া ও শরফুদ্দিনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস শুনানি করেন। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, চারটি আপিল ছিল। চারটিই মঞ্জুর করেছেন আদালত। হাইকোর্ট বিভাগ ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেছেন। সঙ্গে যাঁরা আপিল করতে পারেননি, তাঁদেরও (খালাস) দিয়েছেন। যেহেতু পুরো মামলাটিই বলেছেন, ম্যালিসাস প্রসিকিউশন (বিদ্বেষপূর্ণ কার্যধারা), তাই তাঁরাও এ সুবিধা পেয়ে খালাস পেলেন। দুজনের মধ্যে একজন তারেক জিয়া। আরেকজন কামাল সিদ্দিকী। রায়টি দুদককে জানানো হবে। তারপর দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।  


মামলার পূর্বাপর

এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন।

রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে কাজী সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল দেন।

তিনটি আপিল ও রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট একসঙ্গে রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ হয়। দুদকের রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রুল যথাযথ ঘোষণা করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও কাজী সালিমুল হকের আপিল খারিজ করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর পৃথক আপিল করেন শরফুদ্দিন আহমেদ ও কাজী সালিমুল হক। এ দুটি আপিল খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে ও শুনানি হয়।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: nationaltribune24@gmail.com

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.