সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর কার্যালয় বি আর টি এ, শরীয়তপুর সার্কেল
শরীয়তপুরে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) শরীয়তপুর অফিসে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের মাদারীপুরের একটি দল।
অভিযানের সময় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সম্প্রতি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দুদকের জরুরি সেবা নম্বর ১০৬-এ অভিযোগ করেন এক গ্রাহক।
অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গোসাইরহাটের তরসাতমাটিয়া গ্রামের কাওসার হাওলাদার নামে এক যুবক দুদকের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, “তিন বছর আগে বিআরটিএর কর্মচারী পরিচয় দেওয়া ওবায়দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নিয়েও লাইসেন্স করে দেননি। পরে তাকে ফোন করা হলে অফিসের পাশের একটি চায়ের দোকানে যেতে বলেন।”
এবিষয়ে দুদকের নোমান বলেন, “কাওসারের সঙ্গে ছদ্মবেশে দুদকের টিম ওই চায়ের দোকান থেকে ওবায়দুরকে আটক করে। পরে তাকে নিয়ে শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসের সহাকারী পরিচালক মো. নুরুল হোসেনের কক্ষে যাওয়া হয়।
“সেখানে ওবায়দুল, ভুক্তভোগী কাওসার ও অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মেহেদী হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এ সময় ওবায়দুর কাওসারের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।” পরে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দিলে ওবায়দুরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
বিআরটিএ অফিসের সদস্য পরিচয় দেওয়া ওবায়দুর সাংবাদিকদের বলেন, “লোকবল সংকটের কারণে মৌখিকভাবে আমাকে অফিস সহায়ক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বিআরটিএর ঘুষ চক্রের সঙ্গে সহকারী পরিচালক ও ইন্সপেক্টর জড়িত। আমাদের শুধুমাত্র ব্যবহার করা হয়।''
বিআরটিএ কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রিনিউ লাইসেন্সসহ সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নেন বলে দাবি করেন ওবায়দুর।
বিআরটিএ শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মো. নুরুল হোসেন বলেন, “দুদক টিম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছেন। তারা তাদের কাজ করে গেছেন। আমি এখানে যোগদানের পর থেকে কোনো দালাল নেই। যে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসেছে, সেই অভিযোগ আমি যোগদান করার অনেক আগের।”
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক নোমান সাংবাদিকদের বলেন, “এক গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের হেড অফিস থেকে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অভিযানে সংস্থাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করে দেখেছি। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য আমরা হেড অফিসে পাঠাব। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।"
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh