× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫২, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখের বেশি মানুষ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:০০ এএম । আপডেটঃ ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১৯ পিএম

ফাইল ছবি

বন্যায় দেশের ১১ জেলার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে, তার মধ্যে ফেনীতেই সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সপ্তাহ পেরুনো এই বন্যায় এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখের বেশি মানুষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১১ জেলায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার এখনো পানিবন্দি; ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।

যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ; ৭ জন শিশু এবং ৬ জন নারী।

ফেনীতে সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, নোয়াখালীতে ৮ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষীপুর ও মৌলভী বাজারে ১ জন করে মারা গেছে। এর বাইরে একজন নিখোঁজ আছেন মৌলভী বাজারে।

আগের দিন বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা জানিয়েছিল ৫৮ লাখ।

উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।

‌আলী রেজা বলেন, পানিবন্দি-ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দুর্গত এলাকাগুলো ৪ হাজার ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে এসব এলাকায় ৫৯৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।

এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ‘মজুদ রয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, "বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আলী রেজা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সংগ্রহ করা ১ লাখ ৪ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) এর মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আলী রেজা বলেন, বন্যা দুর্গত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “বন্যা দুর্গত জেলাগুলোতে মোবাইল ও টেলিফোন যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। যে কোনো তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন আলী রেজা।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.