গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই এ কথা পুনর্ব্যক্ত করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা থাকত তাহলে দেশে এত সংবাদ মাধ্যম বাড়ানোর অনুমতি দেয়া হতো না।
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে গতকাল নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এর সদস্য সংবাদপত্রের প্রকাশনার ৫০ বছর ও ২৫ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন তিনি। আরাফাত আরো বলেন, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন।
নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে আরাফাত বলেন, ‘আমরা সমালোচনা গ্রহণের জন্য একেবারে প্রস্তুত এবং আপনার মতামত শুনতে ইচ্ছুক। আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে।
আরাফাত আরো বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে (আরএসএফ রিপোর্টে) স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি পুরো দেশের চিত্র হতে পারে না।’ আরাফাত আরো বলেন, তাই সমগ্র দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সংবাদের ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালিক প্রমুখ।
নোয়াব প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্ণ করার জন্য দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদী এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পূর্ণ করার জন্য প্রথম আলো এবং মানবজমিনকে সম্মাননা প্রদান করে।