× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দেশে ফিরেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৯ এএম । আপডেটঃ ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২১ এএম

দেশে ফিরে শফিক রেহমান বলেন, তিনি চান শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুন। বেঁচে থাকাকেই তার শাস্তি বলে মনে করেন | ছবি—সংগৃহীত

ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ত্রী তালেয়া রহমানকে নিয়ে অবতরণ করেন তিনি।

এ সময় বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নিকটজন ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে সহকর্মীদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শফিক রেহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় ২০২৩ সালের অগাস্টে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল শফিক রেহমানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।

যায়যায়দিনের সাবেক এই সম্পাদক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) এবং তার পিতা দুজনেই পালিয়ে গেছেন। আমি তাদের উপাধি দিয়েছি। একজন হচ্ছেন ‘বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ’, আরেকজন হচ্ছেন ‘বীর পলাতক উত্তম’।

বিএনপিঘনিষ্ঠ ৯০ বছর বয়সী শফিক রেহমানকে প্রবাসজীবনে গত কয়েক বছরে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও গত বুধবার লন্ডনে একটি ‘মানবাধিকার জোটের’ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

সেখানে তিনি শেখ হাসিনার দ্রুত সাজার দাবি তুলেছিলেন।

তবে দেশে ফিরে শফিক রেহমান বলেন, তিনি চান শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুন। বেঁচে থাকাকেই তার শাস্তি বলে মনে করেন।

তিনি বলেন, “আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভেতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।”

নতুন সরকারের কাছে চাওয়া সম্পর্কে শফিক রেহমান বলেন, “সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃংঙ্খালা বজায় রাখতে হবে।

“এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।”

বিমানবন্দরে শফিক রেহমানকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সরদার ফরিদ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, আলফাজ আনাম, মাহবুব আলম, শাহীন চৌধুরী, ফেরদৌস মামুন।

পেশাজীবীদের মধ্যে ছিলেন খান মনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, যুবদল নেতা কৃষিবিদ সানোয়ার আলম।

এছাড়াও ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, রাশিদুল ইসলাম রিপন, বিএনপি নেতা আশরাফ শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদ রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিক।

সাংবাদিক এলাহী নেওয়াজ খান সাজু বলেন, “পতিত সরকারের প্রতিহিংসার শিকার এই বরেণ্য সাংবাদিক। তার ওপর চরম অত্যাচার করা হয়েছিল। তাকে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হয়েছিল। আজকে মুক্ত বাংলাদেশে ফিরেছেন। আমরা এই বরেণ্য বড় ভাইকে স্বাগত জানাতে এসেছি। তার সাথে ভাবী তালেয়া আপাও এসেছেন।”

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.