ফাইল ছবি
যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৯ তারিখ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সব পদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
গত ২৩ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন নং ৫৫৭৫/২০২৪ দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে তারিখের আদেশে শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২০২৪ দায়ের করলে ২০মে তারিখের আদেশে “নো অর্ডার” প্রদান করা হয়।
এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে তারিখে অনুষ্ঠেয় যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের পর বন্ধ হয়ে গেছে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারণা।
ভোটগ্রহণের দিন যতই কাছে আসছিল ততই শেষ সময়ের প্রচারণায় আদা-জল খেয়ে নেমেছিল প্রার্থীরা। ঘর ছেড়ে অধিকাংশ সময়ই মাঠে ময়দানে জনসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন তারা। শেষ সময় পর্যন্ত অর্থ, শ্রম, হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে থমকে গেছেন তারা।
হঠাৎ উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জানতে পেরে মাঠ ছেড়ে ঘরে উঠে গেছেন সকলে। টাঙানো হচ্ছেনা পোস্টার, বন্ধ হয়ে গেছে মাইকিং, ভোটারদের বাড়ি বাড়িও যাচ্ছেন না প্রার্থীরা।
এদিকে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের পর প্রার্থীদের সাথে কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোৎস্না আরা মিলি বলেন, 'হাইকোর্টের এই আদেশের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের প্রস্তুতি ছিল এবং আমরা নির্বাচানের জন্য অনেক পরিশ্রমও করেছি। এটা অনেকটা গরমভাতে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিলে যেমন হয়ে অনেকটা সেই রকম হয়ে গেছে। তবে এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমি একজন সৎ মানুষ আমার জন্য সব ধরনের খরচই খুবই কষ্টকর। তবে আগামী ফেসএ নির্বাচন হয়ে গেলে ভাল হয়।'
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ বলেন, আমরা হাইকোর্টের আদেশকে সম্মান করি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নির্বাচন হয়ে যেত। তবে যত দ্রুত আদালত সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক, কারণ আমাদের অনেক পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় হয়েছে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফাতেমা আনেয়ার বলেন, 'আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তবে আমরা আরও একটু সময় পেলাম। আশা করি হাইকোর্ট অতি শীঘ্রই নির্বাচনের জন্য আদেশ দিবেন।'
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধূরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।'
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান মিলন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের উপর আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে এটা সাময়িক স্থগিতাদেশ। আদালত যাই বলবে আমরা তার উপর আস্থা রাখি।
যশোর অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অনুযায়ী সদর উপজেলা নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ সময়ে প্রার্থীরাও কোন প্রচার প্রচারণা করতে পারবে না।
বিষয় : উপজেলা নির্বাচন যশোর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh