প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, অর্থনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে গেলে রাষ্ট্রের যে জিনিসটি প্রয়োজন, তা হচ্ছে সবার প্রতি সহমর্মিতা। আর এর পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে গড়ে তোলা।
সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বক্তব্য দেন। এ সময় উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের শিশুসন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারকসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে এই গুণ ছিল। তিনি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এমনকি নিজের জীবন দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে গড়ে তুলতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান বিচারপতিকে উপহার দেন। এর আগে সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন প্রধান বিচারপতি।