× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মানবতাবিরোধী অপরাধ

সেনা অফিসারদের বিচার ট্রাইব্যুনালের আইনেই করতে হবে—চিফ প্রসিকিউটর

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৬ পিএম । আপডেটঃ ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৬ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম রোববার সাংবাদিকদের কাছে আইনগত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য প্রণীত এই ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধানের মাধ্যমেও শক্তিশালী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন শৃঙ্খলামূলক ফোর্সের (শৃঙ্খলা বাহিনী) সদস্যদের বিচারের জন্যই বিশেষভাবে এই আইন তৈরি করা হয়েছে।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, "এই আইনে যে অপরাধগুলোর বর্ণনা করা হয়েছে, তার বিচার বাংলাদেশের সাধারণ কোনো আইনে নেই। এমনকি আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্সের নিজস্ব আইনেও নেই। সুতরাং এসব অপরাধের বিচার কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের মাধ্যমেই করতে হবে।"

আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে তাজুল ইসলাম বলেন, "আইন সবসময় তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। যখন আদালত থেকে কোনো পরোয়ানা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়, তখন সংবিধানে, ট্রাইব্যুনাল আইনে এবং ফৌজদারি কার্যবিধিতেও স্পষ্ট উল্লেখ আছে—যেকোনো আসামিকে গ্রেপ্তারের পর স্থান থেকে আদালতে আনার সময়টুকু বাদ দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের সামনে উপস্থিত করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, আটক রাখার বিষয়ে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "নিয়ম হচ্ছে, কাউকে আটক করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদালতে হাজির করতে হবে। এরপর কেবল আদালত যদি তাকে আটক রাখতে বলেন, তবেই আটক রাখা হবে। আদালত জামিন দিলে মুক্তি দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা আদালতের ওপর চলে যায়—এটাই আইনি ব্যাখ্যা।"

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক আইনি ব্যাখ্যা জানতে না চাইলেও, কেউ চাইলে তা জানানো হবে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।

সেনাবাহিনীর যে ১৫ জন সেনা হেফাজতে আছেন, তাদের আইনি স্ট্যাটাস কী হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, "আমাদের কাছে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ডকুমেন্টারি পদ্ধতিতে কেউ জানায়নি যে, তাদের আটক রাখা হয়েছে, তাই আমরা মিডিয়াতে আসা খবর আমলে নিচ্ছি না। তবে, যদি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে তাদের আটক রাখা হয়েছে, তাহলে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের কাছে আনতে হবে।"

তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.