× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ট্রাম্পকে গুলির ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রচারে যে প্রভাব পড়তে পারে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১৪ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ এএম । আপডেটঃ ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৫ এএম

ছবি—সংগৃহীত

ডনাল্ড ট্রাম্প গুলিতে আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়ছেন, তার কান থেকে রক্ত গালের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে আর সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরে আছেন- এসব অকল্পনীয় ছবিগুলো শুধু ইতিহাসই তৈরি করেনি এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চলমান ধারা পাল্টে দিতে পারে।

এই আতঙ্কজনক রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাব নির্বাচনী প্রচারে অনিবার্যভাবেই পড়বে। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা সন্দেহভাজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে মেরেছে। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ বিবেচনা করে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।

সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টদের ঘেরাওয়ের মধ্যে রক্তাক্ত মুখ নিয়ে ট্রাম্প মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ধরে আছেন, এমন একটি ছবি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প লিখেছেন, “এই লড়াইটাই আমেরিকার দরকার।”

এই গুলির ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশনে হাজির হয়ে বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা আমেরিকায় হবে না। তিনি তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং শনিবার রাতেই তার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির দ্রুততার সঙ্গে তাদের সব রাজনৈতিক বিবৃতি ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে রাখে। এই সময়ে ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কিছু বলা যে ঠিক হবে না, তাদের এসব পদক্ষেপে এই বিশ্বাস পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। এর বদলে তারা যা ঘটেছে তার নিন্দা করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

সব রাজনৈতিক শিবিরের রাজনীতিকরাই একযোগে বলছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার দ্রুততার সঙ্গে এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন আর জানাচ্ছেন, ট্রাম্প গুরুতরভাবে আহত না হওয়ায় তারা কতোটা স্বস্তিবোধ করছেন।

কিন্তু ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু রাজনৈতিক সহযোগী ও সমর্থক এই সহিংসতার জন্য বাইডেনকে দোষারোপ করা শুরু করে দিয়েছেন। একজন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা এক পোস্টে ‘একটি হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনা’ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন।

ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন, এমন সম্ভাব্যদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় যার নাম থাকবে বলে ভাবা হচ্ছে সেই সিনেটর জেডি ভ্যান্স বলেছেন, বাইডেনের প্রচারণার বক্তব্য সরাসরি এই ঘটনার দিকে নিয়ে গেছে।

অন্য রিপাবলিকান রাজনীতিকরাও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন। আর তাদের বিরোধীরা তাদের এসব কথার নিন্দা জানাবে তা একরকম নিশ্চিত। এ রকম উত্তেজনাকর সময়ে পাল্টাপাল্টি এসব কথাবার্তায় পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে।

বিবিসি বলছে, ইতোমধ্যেই পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই শুরু হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে যা মর্মান্তিক এক ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত কুৎসিত লড়াইয়ের রূপ নিতে পারে। আর সেরকম কিছু হলে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা নতুন রূপে হাজির হতে পারে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.