× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:২৫ এএম । আপডেটঃ ১৪ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ এএম

ছবি—রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান ছুঁয়ে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন।

ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্প যখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এসময় তিনি বলছিলেন,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!”

ওই সমাবেশে থাকা এক প্রতক্ষ্যদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, গুলির শব্দ পাওয়ার আগে আগে তিনি কাছের একটি ভবনের ছাদে এক রাইফেলধারীকে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

ওই হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ গেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, এ ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ বিবেচনা করেই তারা তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনার পরপরই ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প শঙ্কামুক্ত। তিনি এখন ভালো আছেন।

রয়টার্স লিখেছে, ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প বক্তৃতা শুরু করার পরপরই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তিনি হাত দিয়ে ডান কান স্পর্শ করেন এবং রক্তে ভেজা হাত দেখে পডিয়ামের পেছনে হাঁটুর ওপর বসে পড়েন। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন এসময় চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন।

মিনিটখানেক পর ট্রাম্প যখন উঠে দাঁড়ান, তার মাথার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা লাল রঙের টুপি আর জয়গামত নেই। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন ঘিরে ধরে গাড়িতে তোলার সময়ও ট্রাম্প বলছিলেন, ‘দাঁড়াও দাঁড়াও’।

পরে নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, “আমাকে গুলি করা হয়েছে। গুলি আমার ডান কানের উপরের অংশ চিড়ে দিয়ে গেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে।”

রয়টার্স লিখেছে, আততায়ীর পরিচয় কিংবা হত্যাচেষ্টার মোটিভ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন।

৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের দ্বৈরথের মাত্র চার মাস আগে এই গুলির ঘটনা ঘটল, যখন সমস্ত জনমত জরিপেই হড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা এই আমেরিকায় হবে না। সমগ্র জাতির এক হয়ে এ ঘটনার নিন্দা জানানো উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে টেক্সাসের সদস্য রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসন বলেছেন, তার ভাতিজা ওই জনসভায় আহত হয়েছেন।

“একটা গুলি ওর ঘাড় কেটে দিয়ে গেছে। ওর রক্ত ঝরছিল।”

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.