যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত তৈরি খাবারের (ফাস্টফুড) রেস্তোরাঁগুলো ক্রেতা সংকটে পড়েছে। তিন-চতুর্থাংশ মার্কিনী সপ্তাহে অন্তত একবার দ্রুত তৈরি খাবার খেতেন। দাম বাড়ায় বাইরের খাবার কম খাচ্ছেন ৬২ শতাংশ মার্কিনী। গত ৬ মাসে রেস্তোরাঁগুলোর মেন্যুতে বাড়তি দাম দেখে অবাক হয়েছেন অন্তত ৬৫ ভাগ অংশগ্রহণকারী। প্রায় ৮০ ভাগই মত দিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ফাস্টফুড এখন বিলাসিতার পর্যায়ে পড়েছে।
ল্যান্ডিং ট্রি নামে একটি মার্কেট প্লেস এ সংক্রান্ত একটি জরিপ সম্প্রতি পরিচালনা করে। জরিপে ফাস্টফুড নিয়ে অন্তত ২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক আমেরিকানের মতামত যাচাই করা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ফাস্টফুড কেনাকাটার অভ্যাস নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ মার্কিনী মনে করেন, ফাস্টফুডের দাম বাড়িতে তৈরি খাবারের চেয়েও কম হওয়া উচিত। ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা এখন বাড়িতেই সহজ এবং সস্তা খাবার তৈরি করছেন।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক মার্কিনীদের নাগালের বাইরে। এর ফলে আর্থিকভাবে লড়াই করছে এমন মার্কিনীরাই শুধু নয়, বছরে ১ লাখ ডলার বা তার চেয়ে বেশি আয় করা মার্কিনীদের ৫২ শতাংশ বলছেন, তারা ফাস্টফুড কম খাচ্ছেন। আর সামগ্রিকভাবে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা ফাস্টফুড খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।
এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে আমেরিকার ফাস্টফুড শিল্পে সামগ্রিকভাবে গ্রাহক কমে গেছে। ফক্স বিজনেসের তথ্যমতে, ম্যাকডোনাল্ডসের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি এপ্রিলে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রায় সবগুলো বড় বাজারে এই শিল্পের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, আমাদের গ্রাহকেরা এখন আগের চেয়েও কম মূল্যের খাবার খুঁজছেন। চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ম্যাকডোনাল্ডস চলতি মাসেই ৫ ডলার মূল্যের একটি নতুন খাবারের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়েন্ডিস নামে আরেকটি ফাস্টফুড কোম্পানি মাত্র ৩ ডলারে একটি চুক্তিভিত্তিক প্রাতরাশের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
এদিকে সিএফকে রেস্তোরাঁর সাবেক সিইও অ্যান্ডি পুজদার মঙ্গলবার ফক্স বিজনেসের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, চলমান পরিস্থিতি মাঝারি মানের রেস্তোরাঁগুলোকে শাটডাউনের দিকে ঠেলে দেবে। এসব রেস্তোরাঁর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।