× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার থেকে সংকেত আসছিল না

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

২১ মে ২০২৪, ১৩:২০ পিএম । আপডেটঃ ২১ মে ২০২৪, ১৩:২১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের জন্য ইরানের উচ্চপর্যায়ের একটি দলকে নির্দেশনা দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি। এরই মধ্যে বিধ্বস্ত ওই হেলিকপ্টারে রেডিও সংকেত পাঠানোর ‘ট্রান্সপন্ডার’ ছিল না বা বন্ধ ছিল বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে তুরস্ক। গত রোববার দুপুরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাগান এলাকায় ওই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির আবদোল্লাহিয়ান ও ছয় আরোহী ছিলেন। গতকাল সোমবার সকালে দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া হয়। এরপর সব আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তেহরান।

গতকাল গঠন করা ওই তদন্ত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইরানের সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী আবদুল্লাহি। দলটি এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেবে তারা। এদিকে তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে রাশিয়া বলেছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তারা। রোববার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়া ছিল। সে সূত্র ধরে সরকারি গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এটুকুই বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বেশ পুরোনো ছিল। কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই দেশ থেকে বহু বছর হেলিকপ্টারটির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করতে পারেনি ইরান। এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইরানে একই মডেলের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল।  

বৃহস্পতিবার দাফন, চলছে শোকমিছিল:
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে করে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাওয়ার কথা ছিল প্রেসিডেন্ট রাইসির। সোমবার তাঁর ও হেলিকপ্টারে থাকা বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় সেই তাবরিজ শহরেই। আজ সেখানে মরদেহবাহী কফিনগুলো নিয়ে শোকমিছিল হয়। তাতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। তাবরিজে শোকমিছিল শেষে সবার মরদেহ নেওয়া হয় কোম শহরে। এই শহরটিকে ইরানের দ্বিতীয় পবিত্র শহর হিসেবে ধরা হয়। কোমে শোকমিছিল শেষে মরদেহগুলো রাজধানী তেহরানে নেওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল বুধবার সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলী শহর মাশহাদে রাইসিকে দাফন করার কথা রয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.