× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব দিচ্ছেন পুতিন

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ এএম । আপডেটঃ ১৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ এএম

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে তার পদ থেকে সরিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৬৮ বছর বয়সী শোইগু ২০১২ সাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শোইগুর স্থলাভিষিক্ত হবেন উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ। খবর আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসির

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে শোইগু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়ার সরকারি নথিতে দেখা গেছে, নিকোলাই পত্রুশেভের কাছ থেকে শোইগু রাশিয়ার শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নেবেন। তবে পত্রুশেভের নতুন পদ কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শোইগুর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। পুতিন সাইবেরিয়ায় মাছ শিকারে যাওয়ার সময় প্রায়ই শোইগুকে সঙ্গে নিয়ে যান। এছাড়াও সামরিক বাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও শোইগুকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

শোইগু পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৯০-এর দশকে রাশিয়ার দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিচিতি পান।

২০২৩ সালে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের সঙ্গে শোইগু বিরোধে জড়িয়েছিলেন। প্রিগোশিন বারবার শোইগুর অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভাগনারকে কম অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করতে থাকেন। প্রিগোশিন তখন রাশিয়ার সেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বল্প সময়ের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে মস্কো যাওয়ার সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হন প্রিগোশিন।

শোইগুর জায়গায় নিয়োগ পেতে যাওয়া বেলুসভ একজন অর্থনীতিবিদ। সামরিক বাহিনীতে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা সামান্যই।

ক্রেমলিনের গণমাধ্যমবিষয়ক মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বেসামরিক নাগরিককে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে ‘উদ্ভাবন’ সক্ষমতা চাওয়া হচ্ছে।

দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবস্থা যেমন ছিল, রাশিয়ার অবস্থা তেমন হয়ে যাচ্ছে। ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের জিডিপির একটা বড় অংশ সামরিক খাতে খরচ হতো। পেসকভের মতে, যে ব্যক্তি উদ্ভাবনকে যত বেশি গুরুত্ব দেবেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.