পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার আটটি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে এই ভোট গ্রহণ।
কয়েকটি স্থানে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ভোট দিতে বাধা এবং প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ স্থানে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল।
আজ দুর্গাপুরে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টকে ঢুকতে দেননি তৃণমূলের কর্মীরা। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়াই ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেন তৃণমূলের কর্মীরা।
নলহাটিতে বিজেপির কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূল। বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির নির্বাচনী অফিস ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল।
বকটুইতে কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। পূর্বস্থলীতে বিজেপির কর্মীদের ভোটদানে বাধা দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল থেকে। রানীগঞ্জ ও তেহট্টে সিপিএমের কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূল। খয়রাশোলে ১৫টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে দুটি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় কংগ্রেস এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল।
নদীয়ার চাপড়ায় ভোট না দেওয়ার জন্য তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। আসানসোলে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ যেতে দেয়নি পাণ্ডবেশ্বরে। কৃষ্ণনগরে সিপিএমের কর্মীকে মারধর, নলহাটিতে বিজেপির কর্মীকে মারধর এবং বড়ঞায় তৃণমূলের ভোটদানে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ভোট গ্রহণের আগের দিন গতকাল রোববার রাতে তৃণমূলের এক সমর্থক বোমার আঘাতে নিহত হন। তাঁর নাম মিন্টু শেখ। বাড়ি কেতুগ্রামে। গতকাল প্রচার শেষে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলেছে, এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যা নয়, পারিবারিক বিবাদের কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া অন্য কোথাও থেকে বড় কোনো ঘটনা বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
আর আজকে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে ভোট পর্বে চলছে তারকা প্রার্থীদের জমজমাট লড়াই।